চাঁদগাজী হাই স্কুল এক্স স্টুডেন্টস’ ফোরাম “গঠনতন্ত্র”
CHSC Ex-Students Forum
গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটিঃ
উমাশাহ্ উমায়ুন মনি চৌধুরী
সদস্য, গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটি
রবিউল করিম নান্টু
সদস্য, গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটি
জাকির হোসেন সোহাগ
সদস্য সচিব
সামছুল করিম মজুমদার
আহবায়ক
- প্রথম ভাগ- অনুচ্ছেদ ১-৫
- দ্বিতীয় ভাগ- সদস্য ও কাউন্সিলর- অনুচ্ছেদ ৬-১৫
- তৃতীয় ভাগ- উপদেষ্টা পরিষদ- অনুচ্ছেদ ১৬-১৮
- চতুর্থ ভাগ- নির্বাহী কমিটি- অনুচ্ছেদ ১৯-৫০
- পঞ্চম ভাগ- পরিচালন পদ্ধতি- অনুচ্ছেদ ৫১-৫৭
- ষষ্ঠ ভাগ- নির্বাচন- অনুচ্ছেদ ৫৮-৬৭
- সপ্তম ভাগ- তহবিল ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা- অনুচ্ছেদ ৬৮-৭০
- অষ্টম ভাগ- অন্যান্য- অনুচ্ছেদ ৭১-৭৪
ভূমিকাঃ-
বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড ও চাঁদগাজী হাই স্কুল কলেজের সুনাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধির প্রয়াস নিয়ে একঝাঁক উদ্যমী ছাত্র ২০১২ইং সালে প্রতিষ্ঠা করে চাঁদগাজী হাই স্কুল এক্স স্টুডেন্টস ফোরাম। শুরু থেকেই এই প্রতিষ্ঠানের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ বিনা পারিশ্রমিকে পাঠদান কর্মসূচী দিয়ে শুরু করলে ও পরে শিক্ষক সম্মাননাসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে উক্ত ফোরামের কার্যপরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত ফোরামের কার্যপ্রণালী সুসংঘটিত করার উদ্দেশ্যে একটি গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় যাহা সময়ের দাবী।
প্রথম ভাগ
অনুচ্ছেদ-১, নামঃ
এটা একটি স্বাধীন, অরাজনৈতিক ও অসম্প্রদায়িক সংগঠন যা চাঁদগাজী হাই স্কুল স্টুডেন্টস ফোরাম নামে পরিচিত হবে।
অনুচ্ছেদ-২, পতাকা ও লোগোঃ-
এর একটি পতাকা, লোগো ও একটি মনোগ্রাম সংরক্ষিত থাকবে।
অনুচ্ছেদ-৩, আইনগত চরিত্রঃ
ক) এই ফোরামটি দেশে প্রচলিত আইন ও বিধি অনুসারে রেজিষ্ট্রেশনের পর এর আইনগত চরিত্র (খবমধষ চবৎংড়হ) থাকবে। তার নামে যে কোন সম্পত্তি, স্বত্ব অর্জন ও অর্জনের পর তা বিক্রি করতে পারবে।
খ) এটি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিয়মিত কার্যপ্রণালী পরিচালিত করবে।
অনুচ্ছেদ- ৪ কার্যালয়ঃ
চাঁদগাজী হাই স্কুল এক্স কলেজের সংলগ্ন অর্থাৎ চাঁদগাজী বাজারে এর একটি কার্যালয় থাকবে।
অনুচ্ছেদ- ৫, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যঃ
চাঁদগাজী হাই স্কুল এক্স কলেজ ও এর ফোরামের কল্যাণে নি¤œলিখিত উদ্দেশ্যে ও লক্ষ্যে চাঁদগাজী হাই স্কুলে এক্স স্টুডেন্ট ফোরাম পরিচালিত হইবে;
ক) চাঁদগাজী হাই স্কুল কলেজের ভাবমূর্তি উন্নত করা;
খ) ফোরামের মধ্যে একতা, সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ববোধ স্থাপন, বড়দের সম্মান ও ছোটদের ¯েœহ এবং একে অন্যকে সাহায্য ও সহযোগিতা করা;
গ) চাঁদগাজী হাই স্কুল কলেজ এর ছাত্র/ছাত্রীদের স্বার্থ রক্ষা করা;
ঘ) সাহায্য পাওয়ার যোগ্য ছাত্র/ছাত্রীদের সহায়তার জন্য একটি পৃথক তহবিল প্রতিষ্ঠা করা।
ঙ) ফোরামের জন্য সমাবেশ, সেমিনার, কর্মশিবির, প্রদর্শনী ও আমোদ ভ্রমণের আয়োজন করা।
চ) সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা;
ছ) দেশে বিদেশে ফোরামের সংগঠন গড়ে তোলা;
জ) প্রত্যেক ব্যাচের উপস্থিতি ও অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা;
ঝ) চাঁদগাজী হাই স্কুল কলেজের শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে সহযোগিতা করা;
ধারা-৫
সংজ্ঞাঃ বিষয় ও প্রসঙ্গের প্রয়োজনে অনুরূপ না হইলে এই গঠনতন্ত্র;
ক) ফোরামঃ এর অর্থ চাঁদগাজী হাই স্কুল এক্স স্টুডেন্টস ফোরাম
খ) ব্যাচঃ যে স্কুলে ভর্তি হয়েছে এবং সে অথবা তার সহপাঠীরা যে বৎসর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে, সেই বৎসরের ব্যাচের অন্তর্ভূক্ত হবে।
গ) স্কুলের পাশের গ্রামঃ উত্তর যশপুর, জয়নগর, সত্যনগর, পূর্বদেবপুর, পঁশ্চিম দেবপুর, মাটিয়াগোদা ও উত্তর সতর।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি/নির্বাহী কমিটিঃ
আহবায়ক কমিটি বা নির্বাচিত কমিটিকে বলা হবে।
ব্যাচের গণনাঃ
যখনই ব্যাচের গণনা হবে ঠিক তখনই সদস্য এসএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন হলে তাকে বলা হবে সর্ব কনিষ্ঠ ব্যাচ এবং তার থেকে ব্যাচ গণনা শুরু হবে।
দ্বিতীয় ভাগ
সদস্য ও কাউন্সিলর
অনুচ্ছেদ-৬ ছাত্র/ছাত্রীঃ
যে ছাত্রের নাম উক্ত স্কুলের হাজিরা খাতায় নাম ছিল সেই চাঁদগাজী হাই স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রী হিসাবে বিবেচিত হবে।
অনুচ্ছেদ- ৭, ফোরামের সদস্যঃ
নির্ধারিত ফর্ম পূরণ, ফোরামের গঠনতন্ত্রের প্রতি পূর্ণ আস্থা জ্ঞাপন করিয়া, নির্ধারিত চাঁদা প্রদান ও নিয়ম অনুযায়ী কমিটির অনুমোদন স্বাপেক্ষে চাঁদগাজী হাই স্কুল এক্স স্টুডেন্টস ফোরামের সদস্য হওয়া যাবে যেখানে বিভিন্ন প্রকারের সদস্য হতে পারে। শর্ত থাকে যে, কার্যনির্বাহী কমিটি যে কোন প্রকার আবেদন গ্রহণ কিংবা প্রত্যাখান করার সর্বময় ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
অনুচ্ছেদ-৮, বিভিন্ন প্রকারের সদস্যঃ
ক) সাধারণ সদস্যঃ
নির্ধারিত ফর্ম পূরণ এবং নির্ধারিত চাঁদা জমা প্রদান করে সদস্যের জন্য আবেদন করা যাবে। প্রাথমিকভাবে সদস্যের চাঁদা ৫০০/- টাকা নির্ধারিত করা যেতে পারে এবং ৬ মাস অন্তর সদস্যের চাঁদা ৩০০/- টাকা হতে পারে।
খ) সিনিয়র সদস্যঃ
৮ (ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত নিয়মে সিনিয়র সদস্য হওয়ার আবেদন করা যাবে, তবে নি¤েœাক্ত শর্ত পূরণ করতে হবেঃ
১) যাদের বয়স ৫০ বছর অতিক্রম করেছে।
যে সমস্ত সাধারণ সদস্যের বয়স ৫০ অতিক্রম করেছে তারা উপযুুক্ত প্রমাণাদি উপস্থাপন না করা পর্যন্ত সিনিয়র সদস্য হওয়ার দাবী ও সুবিধা গ্রহণ করা পারবে না।
গ) আজীবন সদস্যঃ
নির্ধারিত ফর্ম পূরণ ও নির্ধারিত চাঁদা প্রদান করে আজীবন সদস্যের আবেদন করা যাবে। প্রাথমিকভাবে আজীবন সদস্যের চাঁদা ১০,০০০/- টাকা হতে পারে। আজীবন সদস্যের ৬ মাস অন্তর চাঁদা দেওয়ার কোন বিধান থাকবে না।
ঘ) দাতা সদস্যঃ
নির্ধারিত ফর্ম পূরণ ও নির্ধারিত চাঁদা জমা প্রদান করে দাতা সদস্যের জন্য আবেদন করা যাবে। প্রাথমিকভাবে ৩০,০০০/- টাকা চাঁদা দিয়ে দাতা সদস্য হওয়া যাবে। দাতা সদস্যের ৬ মাস অন্তর চাঁদা দেওয়ার কোন বিধান থাকবে না।
ঙ) অনারারী সদস্যঃ
কার্যনির্বাহী কমিটি প্রয়োজনবোধে, যাহারা ফোরামের সদস্য/ছাত্র/ছাত্রী নয় কিন্তু ফোরামের মর্যাদা ও স্বার্থের উন্নয়নে/পরিবর্ধনে সহায়ক, ডোনার ও স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গকে অনারারী সদস্যপদ প্রদান করিতে পারবে, তবে অনারারী সদস্যদের কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ কিংবা ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে না।
অনুচ্ছেদ-৯, সদস্যের অধিকার ও কর্তব্যঃ
ক) প্রত্যেক সদস্য প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে অনুচ্ছেদ ১৩ এর নিয়মাবলী মেনে স্ব স্ব ব্যাচের কাউন্সিলর নির্বাচিত করতে পারবে।
খ) দাতা/আজীবন/অনারারী সদস্যের পদটি মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানজনক। তাঁহারা কোন প্রকার চাঁদা না দিলেও, কোন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় চাঁদা বা অনুদান প্রদান করতে হবে।
গ) দাতা সদস্য/অনারারী সদস্যের নামের তালিকা ফোরামের সংরক্ষিত বোর্ড এবং আজীবন সদস্যের নামের তালিকা ফোরামের নথিতে সংরক্ষিত থাকবে এবং ফোরামের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, সামাজিক অনুষ্ঠান, বার্ষিক সাধারণ সভায় ও বনভোজনে বিশেষভাবে তারা আমন্ত্রিত হবেন।
ঘ) প্রত্যেক সদস্য যাহার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নিয়মিতভাবে বার্ষিক চাঁদা ও সময় সময় আরোপিত চাঁদা পরিশোধ করবেন।
ঙ) একজন সদস্য এই গঠনতন্ত্রে বর্ণিত বিধি বিধান সাপেক্ষে যে কোন পদে নির্বাচন করার বা ভোট দানের অধিকারী হবেন এবং একজন সদস্যের একটি মাত্র ভোট দানের অধিকারী হবেন।
চ) ফোরামের চলিত বৎসরের চাঁদা ও সময়ে সময়ে নির্ধারিত অন্যান্য ফি নিয়মিত পরিশোধ করলে তিনি বৈধ সদস্য হিসাবে গণ্য হবে।
ছ) বিধি মোতাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকান্ডের ব্যাখ্যা দাবি ও আয়ব্যয়ের হিসাব চাওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।
জ) নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে সিনিয়র সদস্য/দাতা সদস্য/অনারারী সদস্য উপস্থিত থাকতে পারবেন।
ঝ) প্রত্যেক সদস্য পরিচয় পত্র পাওয়ার অধিকারী হবেন।
অনুচ্ছেদ ১০, সদস্য পদ স্থগিত করা ও পুনঃ ভর্তিঃ
ক) কোন সদস্য যিনি নির্বাহী কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত চাঁদা পরপর দু’বছর পরিশোধ না করিলে, ফোরামে তার সদস্য পদ আপনা আপনি স্থগিত হয়ে যাবে। পুনঃ ভর্তির জন্য তাকে সমুদয় বকেয়া সহ পুনঃ প্রবেশ ফি পরিশোধ করতে হবে।
খ) কোন সদস্যের চলিত পঞ্জিকা বর্ষের বার্ষিক চাঁদা অপরিশোধিত থাকলে তিনি সংশ্লিষ্ট মেয়াদ/কার্যকালের জন্য ফোরামের কোন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করার, নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না এবং ফোরামের প্রদত্ত অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে ও বঞ্চিত হবেন।
গ) সদস্য পদ লাভের কোন অযোগ্য ব্যক্তি তথ্য গোপন করে বা প্রতারণার আশ্রয়ে সদস্য হলে তার সদস্য পদ নির্বাহী কমিটি বাতিল করতে পারবেন এবং তিনি ফোরামের পরিচয়পত্র লাভের যোগ্য হবেন না।
অনুচ্ছেদ-১১, সদস্য পদ বাতিলঃ
ক) মৃত্যু, পদত্যাগ, সদস্যপদ স্থগিতকরণ ও বহিস্কারের মাধ্যমে সদস্যপদ আপনা আপনি বাতিল হয়ে যাবে।
খ) কোন সদস্য ফোরাম বিরোধী কোন কর্মকান্ডে নিয়োজিত হলে নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে তার সদস্য পদ স্থগিত বা বাতিল হবে। তবে তা অবশ্যই উপদেষ্টা কমিটির অনুমোদন নিতে হবে।
গ) ফেইজবুক, হোয়াটস অ্যাপ কিংবা বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে ফোরাম নিয়ে বিরূপ সমালোচনা বা মন্তব্য করা হলে তা ক্লাব বিরোধী কর্মকান্ড হিসাবে বিবেচিত হবে।
ঘ) মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হলে;
ঙ) ফোরামের গঠনতন্ত্র, বিধি ও নিয়ম শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত হলে;
চ) আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হলে;
অনুচ্ছেদ-১২, বহিস্কারঃ
কোন সদস্য ফোরামের গঠনতন্ত্র বহির্ভূত বা ফোরামের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এর বিরুদ্ধে ক্ষতিকর কোন কাজ করিলে এবং এতদ্ববিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করিয়া ও তাহার প্রাথমিক তদন্তপূর্বক কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে সাময়িকভাবে তার সদস্য পদ স্থগিত এবং অভিযোগ দন্ডে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাহাকে বহিস্কার করা যাবে।
অনুচ্ছেদ ১৩, কাউন্সিলর নির্বাচনঃ
ক) কোন ব্যাচের ২০ জনের সমান বা কম সদস্য থাকিলে প্রত্যেক ব্যাচ থেকে ২ জন ছেলে সদস্য ও ১ জন মেয়ে সদস্য কাউন্সিলর হতে পারবে। ২০ জনের অতিরিক্ত প্রত্যেক কমপক্ষে ১০ জন সদস্যের জন্য উক্ত ব্যাচ অতিরিক্ত ১ জন কাউন্সিলর পাবে।
খ) কোন ব্যাচ থেকে যদি ৩ জনের কম সদস্য থাকে, সে কয়জনই কাউন্সিলর হিসাবে মনোনয়ন পাবে।
নির্বাহী কমিটি শিক্ষা, সামাজিক মূল্যবোধ, কাজের উদ্যমতা ও ন্যায়পরতা বিবেচনা করে স্ব স্ব ব্যাচের কাউন্সিলর মনোনয়ন দিবে উক্ত ব্যাচের কার্যকরী সদস্যের তালিকা থেকে।
ঘ) মনোনয়নের পূর্নাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং মনোনয়ন প্রকাশের তারিখ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কোন লিখিত আপীল কারো বিরুদ্ধে করলে, সে বা তারা ব্যতীত বাকী সবাই কাউন্সিলের হিসাবে পূর্ণাঙ্গ মনোনয়ন পাবেন;
ঙ) ১৩ এর ঘ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপীল করতে ইচ্ছুক যে কোন ব্যাচ, ১০ জনের (২০ জনের বেশী সদস্য থাকলে) বা ৫ জনের (১০ জনের বেশী সদস্য থাকলে) বা ৩ জনের (১০ জনের কম সদস্য থাকলে) স্বাক্ষরিত লিখিত আবেদনপত্রের মাধ্যমে স্ব স্ব ব্যাচের ১ জন অথবা তার অধিক কাউন্সিলর পরিবর্তন চাইতে পারে যেখানে আপীলের কারণে সুস্পষ্টভাবে থাকতে হবে।
চ) উক্ত আপীল যাচাই বাছাইয়ের পর আমলযোগ্য মনে হলে নির্বাহী কমিটি সে সমস্ত ব্যাচের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটের/আলোচনার মাধ্যমে তাদের স্ব স্ব কাউন্সিলর নিয়োগ প্রদান করবেন। উক্ত ভোটের আয়োজন কাউন্সিলর মনোনয়নের তারিখ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
ছ) অবশেষে পূর্ণাঙ্গ কাউন্সিলরের তালিকা যথাযথভাবে প্রকাশ করা হবে।
জ) উপরে যাই থাকুক না কেন, স্ব স্ব ব্যাচের সদস্যের ২/৩ অংশ সদস্যের স্বাক্ষরিত ও প্রস্তাবিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কাউন্সিলর হিসাবে অনুমোদন দিতে বাধ্য থাকিবে।
অনুচ্ছেদ-১৪, কাউন্সিলরের কার্যাবলীঃ
ক) স্ব স্ব ব্যাচের মুখপাত্র হিসাবে কাজ করবে।
খ) সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করতে পারবে।
অনুচ্ছেদ ১৫ কাউন্সিলরের মেয়াদঃ
যতক্ষণ পর্যন্ত উক্ত কাউন্সিলের সদস্যপদ অযোগ্য হবে না অনুচ্ছেদ ১০,১১ এবং ১২ অনুযায়ী বা স্ব স্ব ব্যাচের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষরিত আবেদনের প্রেক্ষিতে কাউন্সিলর পরিবর্তনের আবেদন ১৩ (জ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী) হয়ে না থাকলে বা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে, ততক্ষণ পর্যন্ত উক্ত কাউন্সিলরের বৈধ হিসাবে বিবেচিত হবেন।
তৃতীয় বিভাগ-
উপদেষ্টা পরিষদ
অনুচ্ছেদ ১৬, উপদেষ্টা কমিটির গঠনঃ
ক) ফোরামের ৯ জন সদস্য নিয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠন হবে যারা নূন্যতম ৪০ ব্যাচের পূর্বের প্রাক্তন ছাত্র হতে হবে।
খ) দায়িত্ব প্রাপ্ত কমিটি অধিকতর মতামতের ভিত্তিতে উপদেষ্টা কমিটি নির্বাচিত হবে।
গ) প্রথমত ব্যাচ এবং তারপর বয়সের জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে উপদেষ্টা কমিটির ক্রম নির্ধারিত হবে।
ঘ) ব্যাচ ও বয়স সমান হলে দায়িত্ব প্রাপ্ত কমিটি ক্রম নির্ধারণ করবেন।
ঙ) নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হার ¯œাতক/বি,এ/সমমানের হতে হবে।
চ) প্রত্যেক গ্রাম থেকে যেন একের অধিক উপদেষ্টা নিয়োগ করা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি কোন গ্রামে ১ জন সদস্যও পাওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে ব্যতিক্রম গ্রহণযোগ্য।
ছ) প্রিন্সিপাল, চাঁদগাজী হাইস্কুলকলেজ পদাধিকার বলে উপদেষ্টা হবেন।
জ) চাঁদগাজী হাইস্কুল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিবার থেকে ১ জন উপদেষ্টা থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-১৭, উপদেষ্টা কমিটির কার্যাবলীঃ
ক) নির্বাচন পরিচালনা করবেন।
খ) জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে জৈষ্ঠ উপদেষ্টা প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবেন।
গ) ৩ জন উপদেষ্টা সম্পূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করবেন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অপর ২ জন উপদেষ্টাকে জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে কমিশনের সদস্য নিয়ে এক সাথে নির্বাচন পরিচালনা করবেন।
ঘ) নির্বাচনকালীন নতুন কোন উপসর্গ উদঘাটন হলে, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ উপদেষ্টা পরিষদ মতানৈক্যের ভিত্তিতে সমাধান করবে।
ঙ) চঁাঁদগাজী হাইস্কুল এক্স স্টুডেন্টস ফোরামের ব্যাংক হিসাবে সাময়িকভাবে বন্ধ করার যথেষ্ট কোন কারণ থাকবে, তখন দুই-তৃতীয়াংশ উপদেষ্টার মতামতের ভিত্তিতে ব্যাংক হিসাব বন্ধ করতে পারবেন।
চ) নির্বাহী কমিটি কোন বিষয়ে মতঐক্যে পৌছাতে ব্যর্থ হলে তা উপদেষ্টা কমিটিতে প্রেরণ করা হবে এবং উপদেষ্টা কমিটি মতামতের ভিত্তিতে সমাধান প্রদান করবেন।
ছ) উপদেষ্টা কমিটি স্বপ্রণিত হয়ে নির্বাহী কমিটির কাজের উপর পর্যবেক্ষণ দিতে পারবেন।
জ) নির্বাহী কমিটি কোন সদস্যের প্রতি অনাস্থা ঘোষণা করলে, উপদেষ্টা কমিটি মতাধিক্যের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
ঝ) নির্বাহী কমিটির কোন শূন্যপদ পূরণের জন্য কমপক্ষে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে উপদেষ্টা কমিটিকে অনুরোধ করলে, উপদেষ্টা কমিটি একজনের নাম চূড়ান্ত করে নির্বাহী কমিটিকে জানাবেন। যার মেয়াদ হবে উক্ত নির্বাহী কমিটির মেয়াদের সমান।
অনুচ্ছেদ-১৮, উপদেষ্টা কমিটির মেয়াদঃ
যতক্ষণ পর্যন্ত উক্ত উপদেষ্টার সদস্য পদ অযোগ্য হবে না অনুচ্ছেদ ১০,১১ এবং ১২ অনুযায়ী অথবা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত উক্ত উপদেষ্টা বৈধ হিসাবে বিবেচিত হবে।
চতুর্থ ভাগ-
নির্বাহী কমিটি পর্ষদঃ
অনুচ্ছেদ ১৯, নির্বাহী কমিটিঃ
ফোরামের কার্য সম্পাদনের জন্য একটি নির্বাহী কমিটি থাকবে। নির্বাহী কমিটির কোন সদস্য কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য হওয়া যাবে না।
অনুচ্ছেদ-২০, সভাপতি- ফোরামের একজন সভাপতি থাকবেনঃ
ক) সভাপতির যোগ্যতাঃ
১। ৪০ ব্যাচের পূর্বের জৈষ্ঠ সদস্য হতে হবে।
২। ¯œাতক/বি,এ/সমতুল্য শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
৩। সভাপতি পদে থাকা অবস্থায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করা যাবে না।
খ) দায়িত্বঃ
১। ফোরামের প্রধান হইবেন;
২। তিনি ফোরামের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং সভার কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষর করিবেন;
৩। তিনি সভার প্রস্তাবাবলী ও সিদ্ধান্তবলী অনুমোদন করিবেন;
৪। প্রয়োজনবোধে তিনি গঠনতন্ত্রের যে কোন ব্যাখ্যা দিবেন এবং তাহা চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
৫। সমান সংখ্যক ভোটের ক্ষেত্রে কাষ্ঠিং ভোট দিতে পারবেন।
৬। জরুরী প্রয়োজনে নূন্যতম চব্বিশ ঘন্টার নোটিশে যে কোন সময় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ডাকিতে পারিবেন।
৭। সভাপতি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদককে সাধারণ পরিষদের ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভা ডাকতে অনুরোধ করতে পারবেন। যদি কোন কারণে সাধারণ সম্পাদক তার অনুরোধক্রমে সভা আহবান করতে ব্যর্থ হন, প্রয়োজন মনে করলে তিনি নিজে ক্লাবের সাধারণ পরিষদের ও নির্বাহী কমিটির যে কোন সভা আহবান করতে পারবেন।
অনুচ্ছেদ-২১, ফোরামের ১ জন সাধারণ সম্পাদক থাকবেন।
ক) যোগ্যতাঃ
১। ৩০ ব্যাচের পূর্বের জৈষ্ঠ্য সদস্য হতে হবে।
২। ¯œাতক/বি,এ/সমতুল্য শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
৩। সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা অবস্থায় সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করা যাবে না।
খ) দায়িত্বঃ
১। সাধারণ সম্পাদক ফোরামের সার্বিক পরিচালনা, উন্নয়ন, পরিকল্পনা গ্রহণ ইত্যাদি দায়িত্বে ন্যস্ত থাকবেন এবং ফোরামের সকল সম্পাদকদের কর্ম পরিচালনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করবেন।
২। সাধারণ সম্পাদক সভাপতির সাথে পরামর্শক্রমে ফোরামের সকল নির্বাহী কার্য সম্পাদন করবেন। ফোরামের পক্ষে সকল প্রকার যোগাযোগ সাধারণতঃ তিনি করবেন।
৩। সাধারণ সম্পাদক সভাপতির সাথে পরামর্শক্রমে ফোরামের সকল সভা আহবান করবেন। উক্ত সভাসমূহের কার্যবিবরণী ও সিদ্ধান্তসমূহ লিপিবদ্ধ করবেন এবং ফোরামের অফিসের রেকর্ডপত্র রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করবেন ও সভার সিদ্ধান্তবলী বাস্তবায়ন করবেন।
৪। সাধারণ সম্পাদক ফোরামের কার্যকলাপের উপর বার্ষিক রিপোর্ট প্রণয়ন করবেন এবং সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভায় উহা পেশ করবেন।
ফোরামের সুষ্ঠ পরিচালনা এবং স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে সকল প্রকার পদক্ষেপ বা গ্রহণের দায়িত্ব সাধারণ সম্পাদকের উপর ন্যস্ত থাকবে।
অনুচ্ছেদ ২২, সহ সভাপতি- ফোরামের ৩ জন সহ সভাপতি থাকবেনঃ
ক) যোগ্যতাঃ
১। ৩০ ব্যাচের পূর্বের জৈষ্ঠ সদস্য হতে হবে।
২। ¯œাতক/বি,এ/সমতুল্য শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
খ) দায়িত্বঃ
১। সভাপতির কাজে সহায়তা করবে।
২। সভাপতির নির্ধারণক্রমে বা জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
৩। সভাপতির নির্ধারিত ও অর্পিত যে কোন দায়িত্ব পালন করবেন।
অনুচ্ছেদ-২৩, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফোরামের ৩ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থাকবেঃ
ক) যোগ্যতাঃ
১। ২৫ ব্যাচের পূর্বের জৈষ্ঠ সদস্য হতে হবে।
২। ¯œাতক (সমতুল্য) শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
খ) দায়িত্বঃ
১। সাধারণ সম্পাদক সহযোগিতা করবেন।
২। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার নির্দেশক্রমে/জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন।
৩। সাধারণ সম্পাদকের নির্ধারিত ও অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
অনুচ্ছেদ-২৪, সাংগঠনিক সম্পাদক ফোরামের ১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক থাকবেঃ
ক) যোগ্যতাঃ
১। ২০ ব্যাচের পূর্বের জৈষ্ঠ সদস্য হতে হবে।
২। এইচএসসি সমতুল্য শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
খ) দায়িত্বঃ
১। ফোরামের সাংগঠনিক কার্যকলাপ পরিচালনা করবেন।
২। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করবেন এবং ফোরামের কর্মকান্ড সম্প্রসারণের জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৩। সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করবেন।
৪। ফোরামের শাখা গঠনের বিষয়ে তিনি মতামত দিবেন ও কার্যনির্বাহী কমিটিতে অনুমোদনের জন্য পেশ করবেন।
অনুচ্ছেদ-২৫,
যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ফোরামের ৩ জন যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-২৬, অর্থ সম্পাদক ১ জন অর্থ সম্পাদক থাকবেনঃ
ক) যোগ্যতাঃ
১। হিসাব রক্ষায় পারদর্শী দক্ষ সদস্য হতে হবে।
খ) দায়িত্বঃ
১। অর্থ সম্পাদক ক্লাবের নামে প্রাপ্ত সকল অর্থ ও চাঁদা উপযুক্ত প্রাপ্তি রশিদের মাধ্যমে গ্রহণ করবেন এবং আয় ব্যয়ের হিসাব যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবেন।
২। অর্থ সম্পাদক নির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে ফোরামের আয় ব্যয়ের হিসাব ও বাজেট সাধারণ সভায় উপস্থাপন করবেন।
অর্থ সম্পাদক তহবিলের অবস্থা নির্বাহী পরিষদের সভায় নিয়মিত অবহিত করবেন।
৪। অর্থ সম্পাদক চাঁদা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সকল সদস্যের বাৎসরিক সমকালীন তালিকা করে রাখবেন এবং উক্ত তালিকা অনুসারে চাঁদা সংগ্রহ ও আয়-ব্যয় ইত্যাদি প্রকাশ করবেন।
অনুচ্ছেদ-২৭ যুগ্ম অর্থ সম্পাদক-ফোরামের ২ জন যুগ্ম অর্থ সম্পাদক থাকবেনঃ-
অর্থ সম্পাদককে সহযোগিতা করবেন এবং তার অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। অর্থ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে যে কোন একজন অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন।
অনুচ্ছেদ-২৮, দপ্তর বিষয়ক সম্পাদকঃ
ফোরামের একজন দপ্তর সম্পাদক থাকবেন, যিনি ফোরামের দাপ্তরিক সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। সকল চিঠিপত্র, সভার নোটিশ ও কার্যপত্র কার্যবিবরণী ইত্যাদি কাজে সাধারণ সম্পাদককে সার্বিক সহযোগিতা করবেন।
অনুচ্ছেদ-২৯, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদকঃ
১ জন যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-৩০, প্রচার সম্পাদকঃ
ফোরামের ১ জন প্রচার সম্পাদক থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-৩১, যুগ্ম প্রচার সম্পাদকঃ
ফোরামের ১ জন যুগ্ম প্রচার সম্পাদক থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-৩২, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকঃ
ফোরামের ১ জন শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক থাকবেন।
অনুচ্ছেদ- ৩৩, যুগ্ম শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকঃ
ফোরামের ১ জন যুগ্ম শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-৩৪, বিদেশ বিষয়ক সম্পাদকঃ
ফোরামের একজন বিদেশ বিষয়ক সম্পাদক থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-৩৫, যুগ্ম বিদেশ বিষয়ক সম্পাদকঃ
ফোরামের একজন বিদেশ বিষয়ক সম্পাদক থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-৩৬, কৃষি বিষয়ক সম্পাদকঃ
ফোরামের একজন কৃষি বিষয়ক সম্পাদক থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-৩৭, যুগ্ম কৃষি বিষয়ক সম্পাদকঃ
ফোরামের একজন যুগ্ম কৃষি বিষয়ক সম্পাদক থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-৩৮, ব্যবসায়ী বিষয়ক সম্পাদকঃ
ফোরামের একজন ব্যবসায়ী বিষয়ক সম্পাদক থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-৩৯, যুগ্ম ব্যবসায়ী বিষয়ক সম্পাদকঃ
ফোরামের একজন যুগ্ম ব্যবসায়ী বিষয়ক সম্পাদক থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-৪০, মোটরযান বিষয়ক সম্পাদকঃ
ফোরামের একজন মোটরযান বিষয়ক সম্পাদক থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-৪১, ক্রীড়া সম্পাদকঃ
ফোরামের একজন ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-৪২, যুগ্ম ক্রীড়া সম্পাদকঃ
ফোরামের একজন যুগ্ম ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-৪৩, সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ
ফোরামের একজন সাংস্কৃতিক সম্পাদক থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-৪৪, যুগ্ম সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ
ফোরামের একজন যুগ্ম সাংস্কৃতিক সম্পাদক থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-৪৫, মহিলা বিষয়ক সম্পাদকঃ
ফোরামের একজন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-৪৬, যুগ্ম মহিলা বিষয়ক সম্পাদকঃ
ফোরামের একজন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক থাকবেন।
অনুচ্ছেদ-৪৭, নির্বাহী সদস্যঃ
ফোরামের ৫ জন নির্বাহী সদস্য থাকতে পারবে।
ক) দায়িত্বঃ
যে বা যাহারা নিয়মিত মিটিং ডাকেন তাহারা যদি দীর্ঘদিন কোন মিটিং না ডাকে দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমন্বয়ে উক্ত মিটিং ডাকতে পারবেন।
অনুচ্ছেদ-৪৮, নির্বাহী কমিটির মেয়াদঃ
শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে নির্বাহী কমিটির মেয়াদ হবে ৪ বৎসর।
অনুচ্ছেদ-৪৯, নির্বাহী কমিটির দায়িত্বঃ
ক) বিধি অনুযায়ী কাউন্সিলর ও উপদেষ্টা কমিটির সদস্য নিয়োগ।
খ) প্রত্যেক ৪ বৎসর অন্তর নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা।
গ) নির্বাহী কমিটির কার্যকাল শেষ হওয়ার ৬ মাস পূর্বে নতুন নির্বাচনের জন্য উপদেষ্টা কমিটিকে লিখিতভাবে অনুরোধ জানাবেন।
ঘ) ফোরামের সকল কার্য সম্পাদন করা।
ঙ) নির্বাহী কমিটি প্রয়োজনে দুই তৃতীয়াংশ ভোটে বিধি প্রণয়ন করতে পারে তা পরবর্তীতে উপদেষ্টা কমিটি ও সাধারণ সভার অনুমোদন নিতে হবে।
অনুচ্ছেদ-৫০, নির্বাহী কমিটির সদস্যের পদের অবসানঃ
ক) অনুচ্ছেদ ১১ ও ১২ অনুযায়ী যদি সদস্য পদ হারিয়ে থাকে।
খ) মিটিং এ নিয়মিত অনুপস্থিত থাকলে।
গ) মিটিং এর দুই তৃতীয়াংশ স্বাক্ষরে অভিসংসনের প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক গৃহীত হলে চূড়ান্তভাবে উক্ত পদ খালি হিসাবে ঘোষণা করবে।
ঘ) পদত্যাগ করলে।
পঞ্চম ভাগ
পরিচালন পদ্ধতি
অনুচ্ছেদ-৫১, সভা আহবানঃ
ক) প্রতি ২ মাস অন্তর ফোরামের নির্বাহী কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। ফোরামের সভাপতির অনুমোদনক্রমে বা ক্ষেত্র বিশেষ নির্বাহী কমিটির ৫ জন সদস্যের অনুমোদনক্রমে সাধারণ সম্পাদক সভা আহবান করবেন। সভাপতির সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হবে।
খ) সভাপতির অনুপস্থিতিতে জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে সহ সভাপতি সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
গ) প্রয়োজনে এক বা একাধিক বিশেষ সভা আহবান করা যেতে পারে।
অনুচ্ছেদ-৫২
উক্ত সভায় সাধারণ সম্পাদক সকল সম্পাদন করা তাদের কাজের অগ্রগতি সভাপতিকে অবহিত করবেন।
অনুচ্ছেদ-৫৩
উক্ত সভার সিদ্ধান্ত সমূহ নির্বাহী কমিটি উপদেষ্টা কমিটিকে অবহিত করবেন এবং তা বাস্তবায়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
অনুচ্ছেদ-৫৪
সময় সময় উপদেষ্টা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রয়োজনে উপদেষ্টা কমিটি ও নির্বাহী কমিটির যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হতে পারবে।
অনুচ্ছেদ ৫৫
প্রতি বছর ফোরামের সকল সদস্যদের নিয়ে একটি বাৎসরিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় ফোরামের এক বছরের সকল কার্যক্রমের বিবরণ আয় ব্যয়ের হিসাব ইত্যাদি উপস্থাপন করবেন। ফোরামের সাধারণ সদস্যগণ এতদবিষয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। সভার নূন্যতম ১৫ দিন আগে নোটিশ জারি করতে হবে। তবে বিশেষ প্রয়োজনে ফোরামের সাধারণ পরিষদের নূন্যতম ৫০ জন সদস্যের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নির্বাহী কমিটির সভাপতি বিশেষ সাধারণ সভা আহবান করতে পারবেন এবং উক্ত বিশেষ সভায় সাধারণ সংখ্যা গরিষ্ঠের ভিত্তিতে যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
অনুচ্ছেদ- ৫৬
সদস্য সংখ্যারে এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির সভার ফোরাম পূর্ণ হবে।
অনুচ্ছেদ-৫৭, কার্যবিবরণী বহিঃ
ক) নির্বাহী কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ একটি কার্যবিবরণী বহিতে লিপিবদ্ধ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ উপস্থিত সকলের স্বাক্ষর করবেন।
খ) তবে ফোরামের নীতি নির্ধারণ, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও মৌলিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে উপদেষ্টা পরিষদ ও ক্ষেত্রবিশেষ বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন লাগবে।
গ) বার্ষিক সাধারণ সভা/বিশেষ সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্তসমূহ পৃথক কার্যবিবরণী বইতে লিপিবদ্ধ থাকবে এবং সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ উপস্থিত সকলে তাতে স্বাক্ষর করবেন।
ষষ্ঠ ভাগ
নির্বাচন
অনুচ্ছেদ-৫৮, নির্বাচনঃ
প্রত্যেক তিন বছর অন্তর অন্তর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অনুচ্ছেদ-৫৯, নির্বাচন কমিশনঃ
অনুচ্ছেদ-১৭ অনুযায়ী উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচনের ৬ মাস পূর্বে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য একাধিক সাব কমিটি গঠন করতে পারেন এবং করবেন। এই সময় নির্বাহী কমিটি শুধুমাত্র নিয়মিত কাজ পরিচালনা করবেন। নিয়মিত কাজের ধরণ ও সংজ্ঞা নির্বাচন কমিশন প্রদান করবেন।
অনুচ্ছেদ-৬০, নির্বাচনের দিনঃ
প্রথম নির্বাচন যখনই হোক না কেন পরবর্তী প্রত্যেক নির্বাচন ৩৬ তম মাস এবং জানুয়ারী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে এবং একই মাসের ৩১ তারিখে শপথ অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
অনুচ্ছেদ-৬১, নির্বাহী কমিটির নির্বাচন প্রক্রিয়াঃ
ক) নির্বাচনের ৬ মাস পূর্বে নির্বাহী কমিটি কাউন্সিলরের চূড়ান্ত তালিকা করবেন অনুচ্ছেদ-১৩ অনুযায়ী এবং কাউন্সিলরের চূড়ান্ত তালিকা নির্বাচন কমিশন প্রেরণ করবেন। কোন ব্যাচের কাউন্সিলর নির্বাচন না করার সঠিক ব্যাখ্যা থাকতে হবে। কাউন্সিলরের ভোটের মাধ্যমে নির্বাহী কমিটি গঠন করবেন নির্বাচন কমিশন।
খ) প্রথম ২ মাসে ৬০ দিন নির্বাচন কমিশন কাউন্সিলরের ছবিযুক্ত আইডি কার্ড তৈরী, নমিনেশন পেপার এর নমুনা, নোমিনেশন পেপার প্রত্যাহারের নমুনা পত্র সহ যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ থেকে ১৮০ দিন পূর্বের দিনকে প্রথম দিন হিসাবে কার্য পরিচালনা শুরু করবেন।
গ) নির্বাচন কমিশন ৯০-১০৫ দিনের মধ্যে নমিনেশন পেপার বিক্রি করবেন এবং বিক্রয়মূল্য কমিশন নির্ধারণ করবেন তা নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলা যাবে না।
ঘ) ১ জন সদস্য একের অধিক পদে নির্বাচন করতে পারবে না।
ঙ) নমিনেশন পেপার ক্রেতাগণ ১০৫-১১০ তম দিনে পূরণকৃত নমিনেশন পেপার নির্বাচন কমিশনে জমা প্রদান করবেন।
চ) যারা বিধিবদ্ধভাবে নমিনেশন পেপার সঠিকভাবে পূরণ করেছে, তাদের যাচাই বাছাইয়ের পর পূর্ণাঙ্গ তালিকা নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করবেন ১১০-১১৫ দিনের মধ্যে।
ছ) কারো নমিনেশন পেপার বাতিল হলে সংশোধনের জন্য সদস্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আপীল করতে পারবেন ১১৫-১২৫ দিনের মধ্যে।
জ) নির্বাচন কমিশন ১২৫-১৪০ দিনের মধ্যে আপীল শুনানী সম্পন্ন করবেন এবং চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবেন।
ঝ) চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ১৪০-১৪৫ দিনের মধ্যে যে কেউ নমিনেশন পেপার প্রত্যাহার করতে পারবেন। কোন ব্যক্তি দুই পদের প্রার্থী হলে, দুটি নমিনেশনই বাতিল করবেন।
ঞ) ১৫০ দিনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবেন নির্বাচন কমিশন।
ট) ১৮০ তম দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ঠ) নির্বাচন কমিশন উপরোক্ত দিনগুলোকে বিবেচনা একটি নির্বাচন ক্যালেন্ডার প্রকাশ করবেন ১২০ দিন পূর্বে।
ড) কোন প্রাকৃতিক কারণে যা মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে তা ৬ দিন পর অনুষ্ঠিত হইবে।
ঢ) যেহেতু সঠিক সময়ে নির্বাচনের আয়োজন করতে নির্বাচন কমিশন বাধ্য তাই নির্বাচন কমিশন যে কোন প্রকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন এবং তাহা নিয়ে কোন প্রকার প্রশ্ন তোলা যাবে না।
অনুচ্ছেদ-৬২, সমঝোতাঃ
উপরে যাই বর্ণিত থাকুক না কেন ফোরামের বৃহত্তর স্বার্থে সাধারণত নির্বাচনকে নিরুৎসাহিত করতে হবে এবং নির্বাচনকে এড়িয়ে সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি গঠনের উদ্যেগ নিতে হবে। তাই নমিনেশন পেপার প্রত্যাহার করার কমপক্ষে ৩ দিন পূর্বে যে কোন সময়ে নির্বাচন কমিশন সমঝোতা করার চেষ্টা করবেন। সমঝোতার পর বাকী পদে নির্বাচন হবে।
অনুচ্ছেদ-৬৩, নির্বাচনঃ
যে সব পদে নির্বাচন হবে কাউন্সিলগণ তাদের মূল্যবান ভোট প্রদান করবেন। যদি কোন শূন্য পদ থাকে তারপর ও একইদিনে নির্বাচন কমিশন কাউন্সিলরের সামনে যাদেরকে উপযুক্ত মনে করবেন তাদের নাম প্রস্তাব করবেন এবং কন্ঠ ভোটের মাধ্যমে কমিশন শূন্য পদ পূরণ করবেন, এতে কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। নির্বাচনের দিন অথবা পরের দিন নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের ফল প্রকাশ করবেন।
অনুচ্ছেদ ৬৪, দায়িত্ব গ্রহণঃ
নির্বাচনের মাসের পরের মাস অর্থাৎ ফেব্রæয়ারী মাসের ১ তারিখে নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
অনুচ্ছেদ-৬৫, নির্বাহী কমিটির শূন্যস্থান পূরণঃ
অনুচ্ছেদ ৫০ অনুযায়ী নির্বাহী কমিটির কোন পদ শূন্য হলে নির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষরের ভিত্তিতে ও উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক নির্বাহী কমিটির শূন্যস্থান পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত পূরণ করা যাবে।
অনুচ্ছেদ-৬৬, উপদেষ্টা কমিটির শূন্যস্থান পূরণঃ
অনুচ্ছেদ ১৮ অনুযায়ী উপদেষ্টা কমিটির পদ শূন্য হলে, অনুচ্ছেদ-১৬ অনুযায়ী নির্বাহী কমিটি বিধি অনুযায়ী নতুন উপদেষ্টার নাম প্রস্তাব করবেন এবং উপদেষ্টা কমিটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দিবেন।
অনুচ্ছেদ-৬৭, কাউন্সিলরের শূন্যস্থান পূরণঃ
অনুচ্ছেদ ১৩ অনুযায়ী নির্বাচনের ৭-৯ মাস পূর্বে নির্বাহী কমিটি কাউন্সিলর নিয়োগ প্রদান করবেন।
সপ্তম ভাগ
তহবিল ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা
অনুচ্ছেদ-৬৮, হিসাব পরিচালনা কমিটিঃ
ক) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকের সমন্বয়ে ব্যাংক হিসাব খোলা যেতে পারে। যে কোন দুইজনের দস্তখতে টাকা উত্তোলন করা যাবে।
খ) তিনজনের যে কেউ বা সবাই পরিবর্তন হলে উক্ত তথ্য ব্যাংকে জানিয়ে নাম পরিবর্তন করতে হবে।
গ) ৫০০০/- টাকার বেশী নগদ টাকা নির্বাহী কমিটির কাছে গচ্ছিত থাকবে না।
ঘ) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ২০০০/- টাকা পর্যন্ত খরচের অনুমোদন দিতে পারবে কিন্তু তার বেশী খরচ হলে নির্বাহী কমিটি থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
ঙ) ৬ মাস অন্তর অন্তর খরচের তালিকা উপদেষ্টা কমিটিতে প্রেরণ করতে হবে।
চ) কোন বিশেষ অনুষ্ঠান করতে চাইলে যার বাজেট ১ লক্ষ টাকার উপরে তার জন্য উপদেষ্টা কমিটির অনুমোদন লাগবে।
অনুচ্ছেদ-৬৯, তহবিলঃ
ক) সাধারণ তহবিলঃ
সদস্য অন্তর্ভূক্ত ফি, মাসিক চাঁদা এবং বিশেষ চাঁদা/অনুদান সংগ্রহের মাধ্যমে ফোরামের তহবিল গঠিত হবে। বিতর্কিত কোন তহবিল গ্রহণ থেকে বিরত থাকা উচিত। ভবিষ্যতে কোন তহবিল বতর্কিত হতে পারে এমন সম্ভাবনা থাকলে নির্বাহী কমিটি উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন গ্রহণ পূর্বক তহবিল গ্রহণ করবেন। এক্ষেত্রে ধার্যকৃত বার্ষিক চাঁদা ও বিশেষ চাঁদা/অনুদান (যদি থাকে) ফোরামের কার্যালয়ে জমা দিয়ে রশিদ গ্রহণ করবেন এবং রশিদটি সংরক্ষণ করবেন।
অনুচ্ছেদ-৭০, নিরীক্ষাঃ
তহবিল হিসাব পরিচালনার বহি সমূহ এবং পরিসম্পদ এবং দায় সমূহের বিবরণী ফোরামের কার্যালয়ে রক্ষিত থাকবে এবং নির্বাহী কমিটি প্রতি বৎসর যথাযথরূপে যোগ্যতা সম্পন্ন সদস্যগণের মধ্য থেকে নীরিক্ষক বা অডিট কমিটি গঠন করতে পারবে। উক্ত নীরিক্ষক বা অডিট কমিটি ফোরামের আয় ব্যয়ের যাবতীয় হিসাব অডিট করে তার প্রতিবেদন প্রণয়ন করবেন। উক্ত প্রতিবেদন বার্ষিক সাধারণ সভায় উত্থাপন করে অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
অষ্টম ভাগ
অন্যান্য
অনুচ্ছেদ-৭১, জনবল নিয়োগঃ
ক) ফোরামের নিরাপত্তা, চাঁদা সংগ্রহ, বিভিন্ন বিল পরিশোধ, হিসাব সংরক্ষণ, ক্লাবের সদস্যদের সেবায় নিমিত্তে ও অন্যান্য কার্য সম্পাদন করার জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ দান করতে পারবেন। তবে নির্বাহী কমিটির পরবর্তী সভায় তা উপস্থাপন করে অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
খ) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যেরূপ নির্দেশ দিবেন নিয়োগকৃত জনবল সেরকম কার্যক্রম সম্পাদন করবেন।
অনুচ্ছেদ-৭২, বিধি প্রণয়নঃ
অত্র ফোরামের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে এবং অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে পালনের নিমিত্তে প্রয়োজন হলে ফোরামের গঠনতন্ত্রের সাথে সামঞ্জতা বজায় রেখে নির্বাহী কমিটি বিধি প্রণয়ন করতে পারবে। এই বিধি সাধারণ সভার অনুমোদন হওয়ার পর কার্যকর হবে।
অনুচ্ছেদ-৭৩, গঠনতন্ত্রের সংশোধনীঃ
প্রয়োজনে গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন বা সংশোধনী প্রস্তাব আনতে পারবেন। নির্বাহী কমিটি প্রয়োজন অনুসারে গঠনতন্ত্রের সংশোধনী প্রস্তাব আনতে পারবেন বা সংশোধনীর সুনির্দিষ্ট লিখিত প্রস্তাব নূন্যতম এক তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষর সম্বলিতভাবে উপস্থাপন করা যাবে। তাদেরকে সাধারণ সভার এক মাস পূর্বে নির্বাহী কমিটি সভাপতির নিকট লিখিত আকারে প্রস্তাব পেশ করতে হবে। নির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে তা সাধারণ সভার এজেন্ডা আকারে পেশ করতে হবে এবং সাধারণ সদস্যের দুই তৃতীয়াংশের মতামতের ভিত্তিতে গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন ও সংযোজন গৃহীত হবে।
অনুচ্ছেদ-৭৪, সোসাইল মিডিয়াঃ
সোসাইল মিডিয়া হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের ঘড়ঃরপব ইড়ধৎফ তাই উক্ত ফোরামের নামে ঋধপবনড়ড়শ ঢ়ধমব, ডযধঃঁঢ়, গবংংধহমবৎ মৎড়ঁঢ় ও অন্যান্য মাধ্যমে ফোরামের নামে টংবৎ ওউ থাকবে যার প্রধান নিয়ন্ত্রণকারী থাকবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে ও সহকারী এডমিন হিসাবে কাজ করবে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও প্রচার সম্পাদক। সভাপতি চাইলে অন্য কাউকে এডমিন করতে পারবে।
অনুচ্ছেদ-৭৫, সঠিক সময়ে নির্বাচন না হলেঃ
প্রাকৃতিক কারণে অথবা অন্য কোন কারণে সঠিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে তা নির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টার কমিটির ব্যর্থতা হিসাবে বিবেচিত হবে। তবে নির্বাহী কমিটির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরদিন থেকে নির্বাহী কমিটির পরিসমাপ্তি হবে এবং উপদেষ্টা কমিটি তিন সদস্যের একটি অস্থায়ী নির্বাহী কমিটি গঠন করবেন যার মেয়াদ এক বছরের বেশী হবে না।